শিমুলতলা স্টেশন
===========
বাঙালীর অনেক সুখস্মৃতি জড়িয়ে আছে শিমূলতলার সঙ্গে। ছুটিতে দলে দলে বাঙালী পরিবার পশ্চিমে যেতেন হাওয়া বদল করতে এবং স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায়। এমনকি ১৮৬৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দও এখানে এসেছিলেন স্বাস্থ্যদ্ধারের উদ্দেশ্যে।
শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে যথাক্রমে ৩৫৮ কি.মি. এবং ৩৪৭ কি.মি. দূরত্বে পূর্ব রেলের এই স্টেশনটি আসানসোল-ঝাঝা শাখায় অবস্থিত একটি আলোচিত পর্যটন স্থল। শিয়ালদা-মজফফরপুর এক্সপ্রেস, উদয়ন আভা তুফান এক্সপ্রেস,...
more... অমৃতসর এক্সপ্রেস, কলকাতা-পাটনা এক্সপ্রেস, বাঘ এক্সপ্রেস ও হাওড়া-মোকামা প্যাসেঞ্জারে চেপে এই স্টেশনে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও রয়েছে লোকাল ট্রেনের ব্যবস্থা। ফুট ওভারব্রিজ, তিনটি ছাউনী সহ দু'টি প্ল্যাটফর্ম, পানীয় জল ও শৌচাগার প্রভৃতি যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের সমস্ত উপকরণই এই স্টেশনে আছে। অসংরক্ষিত টিকিট কাটার বন্দোবস্ত এই স্টেশনে আছে। যাত্রী ও স্থানীয়দের মনোরঞ্জনের জন্য স্টেশন সংলগ্ন একটি শিশুপার্ক ও কৃত্রিম ছোট একটি বনাঞ্চল স্টেশনের সৌন্দর্যায়নে সহায়তা করেছে।
পূর্ব ভারতে রেলপথ প্রবর্তনের সাথে সাথেই বাঙালীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে পশ্চিমে ভ্রমণ যেন এক অভ্যাসে পরিণত হয়। পাহাড়, টিলা, শাল, মহুয়ার অরণ্যে প্রাকৃতজনের গ্রাম দেখতে দেখতে হারিয়ে যাওয়া যায় ভোরের শিশির ভেজা লাল মোরামের পথে। এখানকার মূল আকর্ষণ নলডাঙার রাজবাড়ির ভগ্নস্তুপ আর গাছপালায় ছাওয়া লাট্টুপাহাড়। গাছগাছালিতে ছাওয়া লাট্টু পাহাড়ের মাথায় চড়ে দেখে নেওয়া যায় আদিবাসীদের দেবতাদের থান। লাট্টু পাহাড়ে সূর্যাস্তও অতি মনোরম। স্টেশনের কাছে লীলাবরণ ঝোরা আর আরেকটু এগিয়ে হলদি জলপ্রপাত দেখে নেওয়া যায় দিনে দিনেই। জলপ্রপাত পরিক্রমায় অরণ্যচরদের দেখা মেলাও অসম্ভব কিছু নয়। চলার পথে টেলবা নদীর ধারে সিকেটিয়া আশ্রম, ধীরহারা জলপ্রপাত দেখে নেওয়া যায়, যা মূলতঃ একটি নদীর অববাহিকা। শিমুলতলা শুধু আরোগ্যনিকেতন নয় পথের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যও সমান আকর্ষনীয়।
Source-
click here